মসজিদের মিনার-গম্বুজ ভেঙে মুসলিমদের নাম নিশান মুছে ফেলছে চিনা সরকার
নিউজ ডেস্ক বঙ্গ রিপোর্ট: চিন সরকার সেদেশের উইঘুর মুসলিমদের নানা ডিটেনশন সেন্টারে বন্দির রাখার পর তাদের ধর্মাচরণ নিয়ে নানা বিধি নিষেধ জারি করেছে। সে খবর কারোরই অজানা নয়। শুধু তাই নয়, চিন সরাকেরর বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে চিনজুড়ে বহু মসজিদ ভেঙে গুড়িয়ে দিচ্ছে। এ সবই চিন করছে মুসলিমদের ইসলামি ধর্মাচরণ থেকে সরে এসে যাতে মূল স্রোতে চলে আসে। মুসলিমদের দাড়ি রাখা, আরবি ভাষার ব্যবহার এবং মুসলিম মহিলাদের বোরখা পরা ও মসজিদে মাইকের ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়। এভাবে চিনের মুসলিমদের প্রতি নিপীড়ন অব্যাহত রয়েছে। বিষয়টি নিয়ে রাষ্ট্রসংঘও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
সেই পরিস্থিতির মধ্যে চিন এবার খুবই চুপিসাড়ে আস্তে আস্তে চিনের মসজিদগুলো থেকে মুসলিম চিহ্ন মুছে দিতে উদ্যোগী হয়েছে। বহু জায়গায় এবার মসজিদের গম্বুজ নিশ্চিহ্ন করে দিচ্ছেচিন সরকার। সম্প্রতি ব্রিটিশ দৈনিক টেলিগ্রাফের এক খবরে এই তথ্য উঠে এসেছে।ইতিমধ্যে নিংজিয়া প্রদেশের ইয়ানচুয়াং অঞ্চলের সবচেয়ে বড় মসজিদ নানগুয়ান মসজিদের উজ্জ্বল সবুজ রঙয়ের গম্বুজ এবং সোনালি মিনার ভেঙে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
মসজিদের ঢোকার প্রবেশ পথকে নতুন রূপ দেওয়া হচ্ছে যাতে ইসলামের কোনও চিহ্ন না থাকে। মসজিদের সামনে লেখা আরবি শব্দ মুছে ফেলা হচ্ছে। তার বদলে চিনা ভাষার স্থান দেওয়া হয়েছে। মুসলিমদের দেশের চিনা সংস্কৃতির দিকে ফেরাতেই তাদের এই উদ্যোগ চিনা সরকারের।
Nanguan mosque, #Yinchuan. Stripped of any art that indicates its purpose. Neighbouring restaurants and shops closed and empty – perhaps also being ‘renovated’? pic.twitter.com/xiwTwBSDZo
— Christina Scott (@CScottFCDO) October 18, 2020
চিনে নিযুক্ত ব্রিটিশ দূতাবাসের উপ-প্রধান ক্রিস্টিনা স্কট এই ধরনের ছবি পোস্ট করেছেন ট্যুইটারে। তাতে দেখা যাচ্ছে, ওই মসজিদের রঙ এবং অলঙ্কার মুছে ফেলা হয়েছে। অন্যদিকে চিনের’ছোট মক্কা’ বলে পরিচিত লিঙ্কিয়া শহরের মসজিদেরও সংস্কার করা হয়েছে।
এর আগে শিনজিয়াং প্রদেশের হাজার হাজার মসজিদ একেবারে গুঁড়িয়ে বা আংশিক ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। এ ব্যাপারে অস্ট্রেলিয়ান স্ট্র্যাটেজিক পলিসি ইনস্টিটিউটের (এএসপিআই)রিপোর্টে জানায়, প্রায় ১০ লক্ষ উইঘুর মুসলিমকে জোরকরে ধর্মীয় আচার পালন ছাড়তে বাধ্য করা হচ্ছে। এরপর মসজিদের মিনার ভাঙার নতুন অভিযোগ সামনে এল।